স্টাফ রিপোর্টার :
প্রচণ্ড গরমে মানুষ অতিষ্ঠ। গত কয়েক দিনের টানা দাবদাহে দুর্বিষহ জনজীবন। গরমের তীব্রতায় ছোটবড় সবার হাঁসফাঁস অবস্থা। এদিকে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে চলছে বিদ্যুতের লোডশেডিং। এ যেন মরার ওপর খরার ঘা। এমন পরিস্থিতিতে ঝালকাঠির নলছিটিতে পথচারীদের পাশে ঠান্ডা পানি নিয়ে দাঁড়িয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা। মঙ্গলবার ঝালকাঠির নলছিটিতে শামসুন্নাহার ফাউন্ডেশন ও বিডি ক্লিন নামে দুটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন শহরের বাসস্ট্যান্ডে বসে পথচারী, যানবাহনের চালক, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ ছোট বড় সবাইকে বিনামূল্যে বিশুদ্ধ ঠান্ডা পানি পান করাচ্ছে। পানি পানের উদ্ধোধন করে পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াহেদ খান এ কার্যক্রমের সফলতা কামনা করেন।
জানা যায়, সামসুন্নেহার ফাউন্ডেশনের সার্বিক সহায়তায় নলছিটির বাসস্ট্যান্ডে বিজয় উল্লাস চত্বরে প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত বিশুদ্ধ পানি পানের কার্যক্রম চলছে। যতদিন দাবদাহ থাকবে, ততদিনই এ কার্যক্রম চালিয়ে যাবেন স্বেচ্ছাসেবীরা। গরমে একটু ঠান্ডা পানি পান করতে পেরে খুশি পথচারীরা। প্রতিদিন এক হাজারেরও বেশি মানুষকে ঠান্ডা পানি পান করানোর লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছেন সংগঠন দুটি। এই গরমের মাঝে সাধারণ মানুষ নিজেদের অতিপ্রয়োজনীয় কাজে ঘর থেকে বের হয়েছেন। অনেক সময় দেখা যায় রোদের তাপে অনেকে পথেঘাটেই ক্লান্ত হয়ে পড়েন। এই গরমে হিটস্ট্রোক থেকে বাচঁতে পানি পানের কোন বিকল্প নেই। মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে শামসুন্নাহার ফাউন্ডেশন ও বিডি ক্লিন। পানি পানের জন্য জীবানুমুক্ত ওয়ানটাইম গøাস ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রতিদিন এক হাজার মানুষকে পানি পান করানোর লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে দুটি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান। তাদের এ কার্যক্রমকে সাধুবাদ জানিয়েছেন নলছিটিবাসী।
সামসুন্নেহার ফাউন্ডেশনের পরিচালক ব্যবসায়ী শাহাদাৎ ফকির বলেন, প্রচÐ গরমে মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। অনেক পথচারী বাজার করতে এসে অসুস্থ হয়েছেন। এসব দেখে আমাদের মনের ভেতরে কষ্ট হচ্ছিল। তাই প্রচÐ দাবদাহে বিশুদ্ধ ঠান্ডা পানি পান করিয়ে পথচারীদের সুস্থ রাখার একটি ব্যবস্থা করেছি। আমাদের লক্ষ্য প্রতিদিন এক হাজারেরও বেশি মানুষ। বিনামূল্যে তাদের পানি পান করারো।
বিডি ক্লিনের দলনেতা মো. মারজান বলেন, হোটেল রোস্তরায় অনেক সময় পানি পাওয়া যায়। সেটা নিরাপদ না-ও হতে পারে। আবার অনেক সময় পানি কিনে পান করতে হয়, এটা অনেকের কাছে কষ্টের। তাই আমরা পথচারীদের পাশে ঠান্ডা পানি নিয়ে দাঁড়িয়েছি। আমাদের সকলের সহযোগিতায় এই কাজকে এগিয়ে নিতে চাই। পানি পানের জন্য ওয়ানটাইম গøাস ব্যবহার করছি।
শহরের রিকশাচালক মো. সবুজ হাওলাদার বলেন, সারাদিন রিকশা চালিয়ে যা পাই, তা দিয়ে সংসার চালানোই দায়। গরমে ঠান্ডা পানি কিনে খাবার সামর্থ আমাদের নেই। এখন প্রতিদিন যে কয়বার প্রয়োজন, সেই কয়বারই ঠান্ডা পানি পান করা যাবে বিনামূল্যে। আমরা স্বেচ্ছাসেবীদের ধন্যবাদ জানাই।
নলছিটির পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াহেদ খান বলেন, তীব্র তাপদাহে সাধারণ মানুষ প্রচন্ড কষ্টে আছে, এর মধ্যে নিত্য দিনের কাজে যারা পথচারী হিসেবে বেড়িয়েছেন তাদের একটু তৃঞ্চা মেটাতে যারা কাজ করছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এ ধরণের কাজে সকলের সহযোগিতা করা প্রয়োজন।
জনতার কণ্ঠ 24 সংবাদ
ইয়াবা গিলে ফেলেও রক্ষা পেলো না মাদক কারবারি
স্টাফ রিপোর্টার : ঝালকাঠিতে যৌথবাহিনীর মাদক বিরোধী অভিযানের বিষয় টের পেয়ে তুহিন হাওলাদার (৩৮) নামে …