Latest News
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৭ই বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Home / জাতীয় / আওয়ামী লীগ যুগোপযোগি শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করেছে : শিল্পমন্ত্রী

আওয়ামী লীগ যুগোপযোগি শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করেছে : শিল্পমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার :
শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, এক সময় প্রাইমারি বিদ্যালয়গুলো জরাজীর্ণ ছিল। বটগাছের তলায়, পুকুরের ঘাটলায় ক্লাস হতো। এখন আর সেই অবস্থা নেই। আমরা সবগুলো স্কুলে ভবন করে দিচ্ছি। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে সবগুলো প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারি করে দিয়েছে। একমাত্র আওয়ামী লীগ সরকারই শিক্ষকদের মর্যাদা বৃদ্ধি করে যুগপোযোগি শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করেছে। আমরা বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টি করতে পেরেছি। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ঝালকাঠির শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে সামাজিক উদ্বুদ্ধকরণ মা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী এসব কথা বলেন। উপজেলা শিক্ষা অফিস এ সমাবেশের আয়োজন করে।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, শিক্ষা হচ্ছে জাতির মেরুদণ্ড এই  মেরুদণ্ডের উতপত্তি হয় প্রইমারি শিক্ষা থেকে। এটা অনুধাবন করতে পেরেছিলেন বলেই বঙ্গবন্ধু ওই সময়কার সকল প্রাইমারি স্কুলকে জাতীয়করণ করলেন। তখন এক লাখ ৬০ হাজার শিক্ষককে তিনি সরকারি পদমর্যাদা দিলেন। পরবর্তী সরকারগুলো কোন প্রাইমারি স্কুল আর সরকারি করেনি। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পরে ২৭ হাজার প্রাইমারি স্কুলকে জাতীয়করণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে এই দেশের শিক্ষার ভীত মজবুত করে দেওয়া হয়েছে।
পহেলা জানুয়ারি সারা দেশে বই উৎসব হয় জানিয়ে শিল্পমন্ত্রী বলেন, আজকে অভিভাবকদের চিন্তা করতে হয় না, ছেলে স্কুলে গেলে বই কেনার পয়সা আছে কিনা। বই কেনার অভাবে আজকে কোন শিক্ষার্থীকে পড়ালেখা থেকে ঝড়ে পড়তে হচ্ছে না। কারণ বর্তমান সরকার বছরের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে নতুন বই তুলে দিচ্ছে। আজকে পহেলা জানুয়ারি ঈদ উৎসবের মত বাংলাদেশে বই উৎসব হয়। পাশাপাশি সরকার বৃত্তি ও উপবৃত্তি দিচ্ছে। এ অবস্থাটা আজকে শেখ হাসিনা সৃষ্টি করে দিয়েছেন। তাইতো মা সমাবেশে ব্যাপক উপস্থিতিই প্রমান করে, শেখ হাসিনার প্রতি আপনাদের সমর্থন রয়েছে।
ডিজিটাল ব্যবস্থার মাধ্যমে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে দাবি করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, আজকে ছোট শিশুরাও মোবাইল ফোনে ও ল্যাপটপে ইন্টারনেট ব্যবহার করে সারা বিশ্বের খবর জানতে পারে, এটার নাম হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ। শুধু মাত্র বই ভিত্তিক পড়াশুনা নয়, শিশুরা প্রাইমারি স্কুলে বসে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে সারা বিশ্ব থেকে জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হচ্ছে। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল দেশের সন্তনরা যেন বিদেশিদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যেতে পারে। আমরা দেশকে ডিজিটাল করে, এটা অর্জন করেছি।
শেখ হাসিনা দেশে পরিপূর্ণ শিক্ষানীতি প্রনয়ন করেছেন জানিয়ে শিল্পমন্ত্রী বলেন, এই দেশে কোন শিক্ষানীতি ছিল না। শেখ হাসিনা সর্বপ্রথম বাংলাদেশে একটি পরিপূর্ণ শিক্ষানীতি প্রনয়ন করেছেন। এই শিক্ষানীতি সারা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যুগপোযুগী শিক্ষা ব্যবস্থা প্রনয়ন করা হয়েছে। আজকে সারা বিশ্ব শেখ হাসিনার এই কর্মজজ্ঞকে স্বীকৃতি দিচ্ছে। আজকে নারীর ক্ষমতায় শেখ হাসিনার মাধ্যমে হচ্ছে। বাবার নামের সঙ্গে মায়ের নাম যুক্ত করে নারী জাতিকে সম্মানিত করেছেন। মাতৃত্বকালীন ছটি ছয় মাস করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, পাকিন্তান আমলে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ও সরকারি করা হয়নি। বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা দেশের সবগুলো প্রাইমারি স্কুল সরকারি করে দিয়েছে। বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকালেও এগুলো করতে পারেনি। বর্তমান সরকার চাচ্ছে জ্ঞান ভিত্তিক একটি সমাজ গড়ে তুলতে। যেখানে শিশুরা জ্ঞান অর্জন করে উপড়ে উঠবে। এজন্য শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করা হয়েছে। যাতে শিক্ষার্থীরা বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে আসে। মা যেন তাদের সকাল সকালই খাবার তৈরি করে দিয়ে সন্তানকে বিদ্যালয়ে পাঠায়। শিশুরা যেন না খেয়ে পড়ালেখায় অমনযোগী না হয়, তাই মিট ডে মিল চালু করা হয়েছে। এ উদ্যোগ সফল করতে হলে মায়েদের ভূমিকা রাখতে হবে। আমরা বলেছিলাম দিনবদলের কথা। তখন বিএনপি কটাক্ষ করে নানা কথা শুনিয়েছে। কিন্তু আজ সত্যিই দিন বদলে গেছে। প্রথমে আমরা মাথার ব্যাথা ঘাড়ে নামিয়েছি, ঘাড়ের ব্যাথা হাঁটুতে, এখন হাঁটুর ব্যাথা পায়ের নিচে নামিয়ে কবর দিয়েছি, এটাই হচ্ছে দিন বদল।
বর্তমান সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে কে অংশ নিবে কে বেনে না, এটা আমাদের দেখার বিষয় নয়। আমরা সংবিধান অনুযায়ী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই নির্বাচন করবো।
ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সুলতান হোসেন খান, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ছাইয়াদুজ্জামান, অভিভাবক ইসরাত জাহান সোনালী ও শারমিন মৌসুমি কেকা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (প্রশাসন) সাবের হোসেন, পরিচালন (অপারেশন) প্রাণ কৃষ্ণ পাল, ঝালকাঠি জেলা পরিষদ প্রশাসক সরদার মো. শাহ আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির।