Latest News
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৫ই বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Home / জাতীয় / আজ ঝালকাঠি পাকহানাদার মুক্ত দিবস, নানা আয়োজনে পালিত

আজ ঝালকাঠি পাকহানাদার মুক্ত দিবস, নানা আয়োজনে পালিত

স্টাফ রিপোর্টার :
আজ ৮ ডিসেম্বর ঝালকাঠি পাকহানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে ঝালকাঠি সদর ও নলছিটি উপজেলা পাকহানাদার মুক্ত হয়। একদিকে পাকবাহিনীদের রশি দিয়ে বেঁধে নিয়ে যাওয়া হয় মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে, অন্যদিকে দলে দলে গ্রামবাংলার মানুষ রাস্তায় নেমে জয় বাংলার স্লোগান দেন। মুক্তির সাদ পায় ঝালকাঠিবাসী। মুক্ত দিবস উপলক্ষে ঝালকাঠিতে নানা কর্মসূচি পালন করে জেলা প্রশাসন ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। সকাল ১০টায় সদর উপজেলা পরিষদে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্যের সামনে থেকে একটি র‌্যালি বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। মুক্তিযোদ্ধা, সন্তান কমান্ড, সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ কর্মসূচিতে অংশ নেন। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার দুলাল সাহা ও মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ইমাম পাশা।
মুক্তিযোদ্ধারা জানায়, ১৯৭১ সালের ২৭ এপ্রিল পাকবাহিনী ঝালকাঠি আক্রমন করে শহরের দখল নিয়ে ‘দ্বিতীয় কোলকাতাখ্যাত’ দেশের বৃহত্তম এ বানিজ্য বন্দরে আগুন লাগিয়ে দেয়। পুড়ে ছাই হয়ে যায় কোটি কোটি টাকার সম্পদ ও বাড়িঘর। এর পর থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজাকার, আলবদর, আলসামস বাহিনীর সহায়তায় নির্বিচারে গণহত্যা, লুট-পাট, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগ চালানো হয় নিরিহ মানুষের ওপর। ৭ ডিসেম্বর বিকেলে পাক মিলিশিয়া বাহিনী ঝালকাঠির উত্তর অঞ্চলে অভিযান শেষে নৌপথে বরিশাল ফেরার সময় ঝালকাঠি শহরের কাঠপট্টি চরে ২৭-২৮ জনের একটি রাজাকারের দল নামিয়ে দিয়ে যায়। এসময় মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয় জনতা তাদের ঘেরাও দিয়ে মারধর করে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে সোপর্দ করে। মুক্তিযোদ্ধারা ঝালকাঠি থানা ঘেরাও করলে ওসিসহ সকল পুলিশ সদস্য মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে অস্ত্র সমর্পন করে। মুক্ত হয় ঝালকাঠি। একই দিন পাকহানাদার মুক্ত হয় নলছিটি। ৭ ডিসেম্বর রাতে মুক্তিযোদ্ধারা রাজাকার ক্যাম্পে আক্রমন করে রাজাকারদের নিরস্ত্র করেন। ৮ ডিসেম্বর সকালে নলছিটি থানা আক্রমনের খবর পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে পুলিশ ও রাজাকার আলবদররা। এক পর্যায়ে কোন রক্ষপাত ছাড়াই মুক্তিযোদ্ধারে কাছে আতœসমর্পন করে তারা। সব মিলিয়ে ৬০/৭০ জনকে নিয়ে যাওয়া হয় তালতলা মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে। পরের দিন ৮ ডিসেম্বর ঝালকাঠি ও নলছিটি শহরে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের পতাকা হাতে মুক্তিকামি মানুষের ঢল নামে। জয় বাংলার শ্লে¬াগানে মুখরিত হয় ঝালকাঠি ও নলছিটি শহর।

জনতার কণ্ঠ 24 সংবাদ

নলছিটিতে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হত্যা মামলায় নারী ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে

স্টাফ রিপোর্টার : ঝালকাঠির নলছিটিতে আলোচিত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জিয়াউল হাসান ফুয়াদ কাজী হত্যায় জড়িত …