Latest News
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১২ই বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Home / জাতীয় / নলছিটিতে অগ্নিদগ্ধে মৃত স্কুলছাত্র ও পুড়ে যাওয়া অটোরিকশাচালকদের পরিবারের মানববেতর জীবন যাপন

নলছিটিতে অগ্নিদগ্ধে মৃত স্কুলছাত্র ও পুড়ে যাওয়া অটোরিকশাচালকদের পরিবারের মানববেতর জীবন যাপন

স্টাফ রিপোর্টার :
ঝালকাঠির নলছিটির কান্ডপাশা এলাকায় একটি গ্যারেজে বিস্ফোরণে পুড়ে যাওয়া ২৭টি অটোরিকশা চালকদের উপার্জন বন্ধ থাকায় পরিবার মানবেতর জীবন যাপন করছে। গ্যারজে ঘুমন্ত অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যাওয় স্কুলছাত্র লিমন জোমাদ্দারের পরিবারে শোক কাটিয়ে উঠতে পারেনি এখনো। ক্ষতিগ্রস্ত এসব পরিবারের পাশে দাঁড়ানো আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের ৮ লাখ টাকা সহায়তা প্রদান করেছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাহফুজ খান।
ক্ষতিগ্রস্তরা জানায়, কান্ডপাশা এলাকায় স্থানীয় মাসুদ খানের একটি গ্যারেজে ২৭টি অটোরিকশা চার্জে রাখা ছিলো। গত ৩১ ডিসেম্বর রাত ১১টার দিকে গ্যারেজে বিস্ফোরণ ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন লেগে যায়। খবর পেয়ে নলছিটি ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে পুড়ে যায় গ্যারেজের ভেতরে থাকা অটোরিকশা ও একটি মোটরসাইকেল। এসময় গ্যারেজের পাহারাদার স্কুল ছাত্র লিমন জোমাদ্দার অগ্নিদগ্ধ হয়। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরের দিন তার মৃত্যু হয়। লিমন কান্ডপাশা গ্রামের কামাল জোমাদ্দারের ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার এখনো শোক কাটিয়ে উঠতে পারেনি। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে বাবা মা পাগল গ্রায়। সে ওই গ্যারেজের পাহাদার ছিলো। এদিকে অটোরিকশাগুলো পুড়ে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় উপার্জন বন্ধ হয়ে গেছে ২৭টি পরিবারের। তারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
ভাঙ্গাদেউলা গ্রামের অটোরিকশাচালক মোস্তফা খন্দকার বলেন, এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে একটি অটোরিকশা কিনেছি। নিজে এটি চালিয়ে যে টাকা পেতাম, তা দিয়ে সংসার ভালই চলতো। কিন্তু আগুনে আমার সব স্বপ্ন পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। অটোরিকশাটি পুড়ে যাওয়ায় ২০ দিন ধরে রোজগার বন্ধ রয়েছে। পরিবার পরিজন মানবেতর জীবন যাপন করছে।
গোয়ালকাঠি গ্রামের অটোরিকশাচালক জামাল হাওলাদার বলেন, অটোরিকশাটি পুড়ে যাওয়ায় আমি নিশ্ব হয়ে গেছি। আমার আর উপার্জনের কোন পথ নেই। সংসার চালানো এবং ছেলে মেয়ের লেখা পড়ার খরচও যোগাতে পারছি না। খুবই কষ্টে আছি।
কান্ডপাশা গ্রামের কামাল জোমাদ্দার বলেন, আমার ছেলে লিমন দশম শ্রেণিতে পড়তো। সংসারে অভাব থাকায় সে অটোরিকশা গ্যারেজে রাতে পাহারার কাজ করতো। এ বছর তার এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু ভাগ্যের নির্মমতার কারনে সে আগুনে পুড়ে মারা গেলো। একমাত্রা সন্তান হারিয়ে আমারা পাগল হয়ে গেছি। এ শোক বইতে পারছে না, আমাদের পরিবারের অন্যরাও।
পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কান্ডপাশা গ্রামের বাসিন্দা জামাল হোসেন খান বলেন, অগ্নিদগ্ধ ছেলেটির পরিবার এবং অটোরিকশাচালকদের পরিবার সবাই খুব অসহায়। তাদের পাশে দাঁড়ানো জন্য আমি স্থানীয় বিত্তশালীদের কাছে অনুরোধ করছি। যাতে তারা কিছুটা হলেও ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারে। কারণ প্রতিটি অটোরিকশা এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে কেনা হয়েছে। ইতোমধ্যে ব্যবসায়ী মাহফুজ খান ক্ষতিগ্রস্তদের ৮ লাখ টাকা দিয়েছেন।

জনতার কণ্ঠ 24 সংবাদ

ঝালকাঠিতে শতাধিক মানুষকে ঈদ উপহার দিলো স্বপ্ন পূরণ সমিতি

স্টাফ রিপোর্টার : ঝালকাঠিতে শতাধিক মানুষকে ঈদ উপহার দিয়েছে স্বপ্ন পূরণ সমিতি। সোমবার বিকেলে শহরের …