Latest News
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ।। ১৪ই চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
Home / আইন-আদালত / রথীশ চন্দ্র ভৌমিক : মর্মান্তিক হত্যার এক জীবন্ত গল্প

রথীশ চন্দ্র ভৌমিক : মর্মান্তিক হত্যার এক জীবন্ত গল্প

মো. শাহীন আলম :

বলছি একটি মর্মান্তিক হত্যার জীবন্ত গল্প। রথীশ চন্দ্র ভৌমিক। রংপুরের বিশেষ আদালতের পিপি। আইনের পাশাপাশি সামাজিক কাজেরও চর্চা ছিল। স্ত্রী, এক ছেলে,এক মেয়ে নিয়ে চলছিল তার সংসার জীবন। আসলেই কি চলছিল তাদের জীবন। না দায়ঠেকার সংসার করছিল ভৌমিক। আইনজীবীর ছেলে ও মেয়ে ঢাকায় একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। নিজ জেলায় স্ত্রী নিয়েই বসবাস করছিলেন ভৌমিক। ৫৮ বছর বয়সী আইনজীবীর ভেতরের কষ্টের কথা আমরা শুনতে পারিনি। কিন্তু সমগ্র ঘটনা বলে দিচ্ছে তাঁর হাহাকার জীবনের কথা। ভৌমিক একসময় হয়ত চিন্তাও করেনি তাঁর প্রিয় মানুষটি আর একজনের সাথে প্রেম করবে। আর তাঁর স্ত্রী ও স্ত্রীর প্রেমিক কতৃক খুন হবেন এটা ভৌমিক কেন তাঁর চারপাশের মানুষগুলো চিন্তাও করেননি। কিন্তু কেন এই নিষ্ঠুরতা? ২৫/৩০ বছরের একটি সংসার জীবনে স্বামীর জন্য একটুকুও মায়া হয়নি! কতইনা স্মৃতি ছিল তাদের মাঝে। যাই হোক এ ধরণের পরকীয়ার কথা প্রায়ই শোনা যায়। দিন দিন বেড়েই চলছে এ ধরণের অসামাজিক কর্মকাণ্ড। কেন বাড়ছে এধরণের কর্মকাণ্ডগুলো?
এখন বলছি আমাদের সামাজিক প্রেক্ষাপট থেকে। আমাদের দেশের নারীদের সবচেয়ে প্রিয় বস্তুটি হল টেলিভিশনের রিমোট। যদিও ভৌমিকের স্ত্রী চাকরিজীবী ছিলেন। কিন্তু দেশের অন্য নারীদের মতই সন্ধ্যার পর থেকেই হয়ত টেলিভিশই তাঁর সঙ্গী। কোনকিছু বিবেচনা না করেই দেখতে থাকে এদেশের নারীরা একের পর এক সিরিয়াল দেখতে থাকেন। যেখানে পারিবারিক কলহের কাহিনীই বেশি থাকে। তা আমরা সবাই জানি। নারীরা এতটাই আসক্ত হয়ে পড়ে যে ক্ষতিকর জেনেও এখান থেকে সরে আসতে পারে না। শুধু কি এই টেলিভিশন সিরিয়ালগুলো দায়ী? তারা হয়ত অনেকটা দায়ী। দাম্পত্য জীবনে পারস্পরিক বোঝাপরার অভাব,একে অপরের প্রতি বিশ্বাসহীনতা,সময় না দেয়, এসব কারণও অনেকাংশে দায়ী। তাই পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে পারিবারিক শান্তি প্রয়োজন। তাহলে হয়ত আমরাদের এধরণের ঘটনা কম শুনতে হতে পারে।