স্টাফ রিপোর্টার :
করোনা পরিস্থিতিতে ঝালকাঠি সদর উপজেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয় ১৫ এপ্রিল। তখন ১০ ইউনিয়নের মানুষের শহরে প্রবেশ এবং বাইরের মানুষকে এসব ইউনিয়নে ঢুকতে নিষেধ করা হয়। প্রথম দিকে কয়েকস্থানে বাঁশ দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে পুলিশ। চেকপোস্টও বসানো হয়। কিছুদিন যেতে না যেতেই ডিলেঢালা হয়ে পড়ে লকডাউনের কার্যকরিতা। আগের মতোই স্বাভাবিক হয়ে পড়ে মানুষের জীবনযাত্রা। এতে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। কাগজে কলমে লকডাউন থাকলেও, তা কার্যকরে কোন তৎপরতা নেই প্রশাসনের। যানবাহনে একাধিক মানুষের যাতায়াত, বাজারে উপচে পড়া ভিড়, চায়ের দোকানে আড্ডা, গণজমায়েত সবকিছুই চলছে নিয়ম না মেনে। এতে যেমন বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্য, তেমনি পরবর্তীতে করোনা দুর্যোগ মোকাবেলায় চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতে পড়তে হতে পারে প্রশাসনের।
জানা যায়, করোনার সংক্রমণ মোকাবেলায় অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ঈদের আগে কোন নিয়ম না মেনেই অটোরিকশাগুলো আবারো চালু করে শ্রমিকরা। এসব অটোরিকশা গ্রাম থেকে শহরে সবস্থানেই যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করছে। গ্রামের বাজারগুলোতে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। বাজারে গায়ে গামিলিয়ে গাদাগাদি করে কেনাকাটা করা হচ্ছে। কারণে অকারণে মানুষ এখন রাস্তায় বের হচ্ছেন। গ্রামের দোকানগুলো সকাল থেকে রাত পর্যন্ত খোলা থাকছে। চায়ের দোকানে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে পুরনো গ্লাস ও কাপে চা বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। জমিয়ে আড্ডা চলে এসব দোকানে।
সদর উপজেলার মানপাশা গ্রামের মাকসুদুর রহমান বলেন, গ্রামের মানুষের মধ্যে লকডাউনের কোন প্রভাব নেই। শুরু থেকে এখানের মানুষ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করছেন। দোকানগুলোতে বেচাকেনা চলছে নিয়ম না মেনে। বাজারেও মানুষের ভিড় লেগে আছে। অনেকের মুখে মাস্ক থাকলেও, অধিকাংশ মানুষ সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহার করছেন না।
পোনাবালিয়া গ্রামের নাসির উদ্দিন বলেন, পৌরসভা খেয়াঘাট দিয়ে প্রতিদিন শহরে শত শত মানুষ গ্রাম থেকে আসছেন, আবার শহরের মানুষ গ্রামে যাচ্ছেন। লকডাউনের কোন চিহ্নই নেই পোনাবালিয়া ইউনিয়নে। সবকিছু চলছে আগের মতো।
পোনাবালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল বাশার খান বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খেয়া পারপার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে জরুরী কাজে যাতায়াতের ব্যবস্থা রয়েছে। অনেক মানুষ একসঙ্গে যায়, এটা আমার চোখে পরেনি।
ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী বলেন, ঝালকাঠির চার উপজেলার মধ্যে সদর উপজেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে, এটা এখনো বলবত রয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিদিনই মোবাইলকোর্ট হচ্ছে। ইতোমধ্যে আমরা অনেক ব্যবসায়ীকে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় জরিমানা করেছি। আইন না মানলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জনতার কণ্ঠ 24 সংবাদ
ঝালকাঠির নলছিটির তাঁড়াবাড়ি মন্ডপে আরতি প্রতিযোগিতায় পুরস্কার বিতরণ
স্টাফ রিপোর্টার : ঝালকাঠির নলছিটি শহরের তাঁরাবাড়ি দুর্গা পূজা মন্ডপে আরতি প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার …