Latest News
শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ।। ২২শে অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Home / জাতীয় / রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ

রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার :
ঝালকাঠির রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভুল চিকিৎসায় জেসমিন বেগম নামে এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার দুপুরে রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বারান্দায় চিকিৎসকের অবহেলায় তাঁর মৃত্যু হয়। নিহত জেসমিন বেগম উপজেলার পশ্চিম ফুলুহার গ্রামের কাঠ ব্যবসায়ী আব্দুল আলিম হাওলাদারের স্ত্রী। তাঁর পাঁচ সন্তান রয়েছে। এ ঘটনায় নিহত রোগীর স্বজনদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত রাজাপুর কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আবুল খায়ের রাসেলকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাওয়া যায়নি।
নিহতের স্বামী আব্দুল আলিম হাওলাদারের অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে বুধবার সকালে জেসমিনকে রাজাপুর কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বিছানায় জায়গা না থাকায় তাকে বারান্দায় চিকিৎসা দেওয়া হয়। সকাল ১০টার দিকে আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আবুল খায়ের রাসেল স্যালাইন ও একটি ইনজেকশন পুস করার পর জেসমিন আরো অসুস্থ হয়ে পড়ে। রোগীর স্বজনরা চিকিৎসক ও নার্সদের কাছে একাধিক বার গেলেও তারা কেউ আর রোগীর কাছে আসেননি। উল্টো স্বজনদের ধাক্কা দিয়ে কক্ষ থেকে বের করে দেয় এবং অসৌজন্যমূলক আচরণ করে। এর কিছুক্ষণ পর বেলা ১২টার দিকে রোগী মারা যায়। ডাক্তারের ভুল চিকিৎসা ও অবহেলায় জেসমিন বেগমের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ স্বজনদের।
নিহত জেসমিনের স্বামী আব্দুল আলিম হাওলাদার বলেন, ডাক্তারের ভুল চিকিৎসা ও অবহেলায় আমার স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। ডাক্তারের কাছে গেলে সে আমাকে গাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
রাজাপুর কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আবুল খায়ের রাসেল মুঠোফোনে বলেন, জেসমিন বেগমকে সকাল ৯টায় হাসপাতালে নিয়ে আসে। তখনই তাঁর অবস্থা ভাল ছিল না। তাঁর খিচুনি রোগ ছিল। অতিরিক্ত পানি শূন্যতায় কিডনির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। এখানে চিকিৎসকের কোন অবহেলা ছিল না।
ভুল চিকিৎসা ও কর্তব্যে অবহেলায় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহাবুবুর রহমান। তিনি বলেন, এখানে ভুল চিকিৎসার কোন ঘটনা ঘটেনি। রোগীর অবস্থা ভাল ছিল না। তাকে সময় মতো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসতে পারেনি স্বজনরা। মুমুর্ষ অবস্থায় তাকে এখানে নিয়ে আসা হয়েছিল। আমরা তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছি।