Latest News
বুধবার, ১ মে ২০২৪ ।। ১৮ই বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Home / জাতীয় / করোনার থাবায় ক্ষতিগ্রস্থ শিক্ষাখাত

করোনার থাবায় ক্ষতিগ্রস্থ শিক্ষাখাত

প্রভাষক শাহ আলম সরদার :
বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় বিশ্ব জুড়ে করোনাভাইরাসের আক্রমণ। এটি একটি ছোঁয়াছে ভাইরাস, যা একজন থেকে প্রায় ৩৫০০ জন মানুষের মধ্যে ছড়াতে পারে। আক্রান্ত হতে পারে বনের জীবযন্ত্রও। এই ভাইরাসটির আক্রমণ থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখার উপায় হলো একজন থেকে আরেকজনকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখা চলা। ভাইরাসটির বিশেষ বৈশিস্ট হচ্ছে, যেখানে মানুষের সমাগম বেশি সেখানে আক্রমণ। আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বেশি সময় জনসমাগম মানে শিক্ষক-কর্মচারি ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি থাকে, যার ফলে এখান থেকেই এই কঠিন করোনাভাইরাসটি ছড়াতে পারে ভেবে, সবার আগে গত ১৮ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারিভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। করোনার আক্রমণ বেড়ে গেলে এই বন্ধ ৯ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। পরে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল, আবার সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই ছুটি আগামী ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত থাকবে। দিনদিন করোনার আক্রমণের রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সেই সাথে মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ সুস্থ্ হয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। তাই দেশ জুড়ে চলছে আতঙ্ক। সরকার মানুষজনকে ঘরের বাহিরে যেতে নিষেধ করছেন, সেই সাথে বন্ধ ঘোষণা করছেন সবধরণের রাজনৈতিক সমাবেশ, সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান। এই আদেশ মেনে চলার জন্য মাঠে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। প্রত্যেককে বুঝতে হবে কতটা মহামারী দেখাদিলে সরকার জনগনের নিরাপত্তার জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েন করেন। বুঝাই যাচ্ছে অনির্দিষ্টকালেরর জন্য এই মহামারী করোনার আক্রমন চলতে পারে। তাই কবে খুলবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তা বলা সত্যিই মুশকিল। ইতি মধ্য বন্ধ হয়ে আছে ২০২০ খ্রিঃ এইচএসসি পরীক্ষা ও ফল প্রকাশ পিছিয়েছে এসএসসি পরীক্ষার। বন্ধ হয়ে আছে এইচএসসি প্রথম বর্ষের বার্ষিক পরীক্ষা, ক্লাস কার্যক্রম নেই। মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষার্থীরা ঘরে বন্দি হওয়ার কারনে কিছুটা মানুষিক ভাবে দুর্বল হয়ে পরেছে, শিশু ও প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের অনেক অভিভাবক পড়েছেন বিপাকে বাচ্চারা যেন ঘরে থাকতেই চাইছে না।বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবারও সেসনজট বৃদ্ধি পাবে,যা শিক্ষা খাতকে দুর্বল করবে। দীর্ঘ সময় ধরে এভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পরবে, তা কাটিয়ে উঠা মুশকিল হবে। যদিও সরকার ডিজাটাল পদ্ধতিতে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির ক্লাস কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেস্টা করছেন। এর মাধ্যমে শহর অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা উপকৃত হতে পারে তবে শহর অঞ্চলে আবার করোনার ভয়ে আতঙ্কিত আছে শিক্ষার্থীরা। সরকারের প্রচেস্টায় কেউ কেউ উপকৃত হলেও ক্ষতির পরিমানটাই বেশি হবে আর এই ক্ষতির বেশির ভাগটাই হবে মফস্বল অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের। কেননা মফস্বল অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা এমনিতেই অনেক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। আবার টেলিভিশনের মাধ্যমে ক্লাস করার মতো অতোটা সচেতন এখনও গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা হয়ে উঠেনি । তাই যত তাড়াতাড়ি এই কঠিন ভাইরাস করোনা দূর হবে ততই দেশের ও দশের জন্য মঙ্গল। তাইতো এই ভাইরাস থেকে দূরে থাকতে সরকারের আইন মেনে চলুন।
আপনি আমি আমরা সবাই সচেতন হলে করোনা তাড়াতাড়ি দূর হবে। আসুন আমরা আইনকে শ্রদ্ধা করি, নিজে বাঁচি অপর কে বাঁচতে সহোযোগিতা করি। আল্লাহ সকলকে হেফাজত করুন,আমিন।
লেখক-
অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত), মাওলানা গোলাম মোস্তফা খান মহিলা কলেজ, নলছিটি, ঝালকাঠি।

জনতার কণ্ঠ 24 সংবাদ

ঝালকাঠিতে শতাধিক মানুষকে ঈদ উপহার দিলো স্বপ্ন পূরণ সমিতি

স্টাফ রিপোর্টার : ঝালকাঠিতে শতাধিক মানুষকে ঈদ উপহার দিয়েছে স্বপ্ন পূরণ সমিতি। সোমবার বিকেলে শহরের …