Latest News
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪ ।। ৫ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Home / জাতীয় / কাঁঠালিয়ায় বিধবাকে ধর্ষণ, ভিডিও ধারণের অভিযোগ

কাঁঠালিয়ায় বিধবাকে ধর্ষণ, ভিডিও ধারণের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার :
ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় বিধবা এক নারীকে (৪৮) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষণের পরে ওই নারীর নগ্ন ভিডিও ধারণ ও ছবি তোলা হয়। এ ঘটনা কাউকে জানালে, ভিডিও ও ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় ধর্ষণকারী দুই যুবক। এমনকি যুবকরা নির্যাতিত নারীর মোবাইলফোনটিও ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ৩১ মার্চ শৌলজালিয়া আবাসনের একটি ঘরে এ ঘটনা ঘটে। দুই দিন ভয়ে পালিয়ে থাকার পরে রবিবার দুপুরে কাঁঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই নারী।
অভিযোগে জানা যায়, ‘ঘর নেই, জমিও নেই’ প্রকল্পের অধীনে উপজেলার শৌলজালিয়া আবাসনের একটি ঘরে দুই নাতিকে নিয়ে থাকেন ওই বিধবা নারী। ৩১ মার্চ রাতে ঘরে লোক আছে জানতে চেয়ে স্থানীয় মালেক খলিফার ছেলে মাইদুল খলিফা ঘরের দরজা খুলতে বলে। পূর্ব পরিচিত হওয়ায় ওই নারী দরজা খুলে দেন। মাইদুলের সঙ্গে রফিক নামে আরো এক যুবক ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে। তারা দরজা বন্ধ করে দিয়ে পালাক্রমে নারীকে ধর্ষণ করে। চিৎকার দিলে ওই নারীর নগ্ন ভিডিও ধারণ ও ছবি তোলে একথা কাউকে বললে এসব কিছু ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। ওই সময়ে যাতে কারো কাছে ফোন দিতে না পারে, এজন্য নির্যাতিত নারীর মোবাইলফোনটিও ছিনিয়ে নিয়ে যায় দুই যুবক। পরের দিন ১ এপ্রিল স্থানীয় ইউপি সদস্য শামসুল আলমকে বিষয়টি জানান ওই নারী। তিনিও সরেজমিনে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পান। বিষয়টি চেয়ারম্যানকে জানালে তিনিও কোন ব্যবস্থা নেননি। এদিকে ধর্ষণকারীদের অব্যহত হুমকিতে ভয়ে আত্মগোপনে চলে যান ওই নারী। পরে তিনি জানতে পারেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুফল চন্দ্র গোলদার ২ এপ্রিল আবাসন পরিদর্শন করবেন। আবাসন পরিদর্শনে গেলে এসময় নির্যাতনের শিকার নারী ইউএনওর কাছে মৌখিকভাবে ঘটনার বর্ণনা দেন। ইউএনও লিখিতভাবে অভিযোগ দিতে বলেন। রবিবার দুপুরে ওই নারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ দেন। অভিযুক্তরা বিভিন্নভাবে ওই নারীকে হুমিক দিয়ে আসছে বলেও অভিযোগ করেন ওই নারী। এতে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন। ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান রিপন বলেন, মাইদুল আর আমাদের বংশ একই। সে আমাদের ঘণিষ্ঠ কিছু না। আমি ঘটনাটি শুনেছি। আমার কাছে কেউ কিছু আগে থেকে বলেনি। ভিকটিমও আমার জ্ঞাতী আত্মীয় এবং অসহায় হওয়ায় আমি তাকে ঘর দিয়েছি। অপরাধী যেই হোক তার সুষ্ঠ বিচার করা হবে। কাঁঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুফল চন্দ্র গোলদার বলেন, অভিযোগ পেয়ে ভিকটিমসহ থানায় পাঠানো হয়েছে। থানার ওসি এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন।
কাঠালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পুলক চন্দ্র রায় বলেন, ইএনও মহোদয়ের কাছে দেওয়া একটি অভিযোগ আমার কাছে ভিকটিম নিয়ে এসেছেন। তদন্ত করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনার পর থেকে গাঢাকা দিয়েছে অভিযুক্তরা।

জনতার কণ্ঠ 24 সংবাদ

নলছিটি পরিবা’র পক্ষ থেকে ঈদ সামগ্রী বিতরণ

স্টাফ রিপোর্টার : ঝালকাঠির নলছিটিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ভিত্তিক সংগঠন ‘নলছিটি পরিবার’ এর পক্ষ …