Latest News
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Home / জাতীয় / নলছিটিতে ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীর অভিযোগ

নলছিটিতে ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীর অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার :
ঝালকাঠির নলছিটিতে নামজারী মোকদ্দমা নিয়ে এক বছর ধরে নানা ধরণের হয়রানির শিকার হচ্ছেন মাসুদ সিকদার নামে এক ব্যবসায়ী। মঙ্গলবার বেলা ১২টায় ঝালকাঠি প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি হয়রানির প্রতিকার চেয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
উপজেলার দপদপিয়া এলাকার মো. বেলায়েত হোসেনের ছেলে মো. মাসুদ সিকদার লিখিত বক্তব্যে দাবি করেন, কাঞ্চন বিবির ওয়ারিশদের কাছ থেকে তিনি তিমিরিকাঠি মৌজার ৩২ শতাংশ জমি কেনেন। ১৬ শতাংশ জমি তিনি বিক্রি করেন। ২১৩০ দাগের অপর ১৬ শতাংশ জমি নিয়ে তাঁর সঙ্গে প্রতিবেশী এম এম মান্নান ও তাঁর লোকজনের বিরোধ দেখা দেয়। ২০২২ সালে তাঁর মালিকানা ও দখলে থাকা ১৬ শতাংশ জমি নামজারী মোকদ্দমা দায়ের করেন। কিন্তু সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) ও জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ দিয়েও এর কোন প্রতিকার হয়নি। বরং তাকে একের পর এক আবেদন নিবেদন ও নানা ধরণের মামলা মোকদ্দমায় জড়িত করা হচ্ছে। তার প্রতিবেশী চারজন প্রভাবশালী এ জমি দখলের জন্য পায়তারা করে আসছে।
এ ঘটনায় তিনি ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৪ ও ১৪৫ ধারায় মামলা দায়ের করেন। আদালত ওই জমিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। সম্প্রতি প্রতিপক্ষরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাঁর জমিতে জোর করে একাধিকবার স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টা করে। পুলিশ এসে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ করে দেয়। স্থাপনা নির্মাণের সরঞ্জামাদিও জব্দ করে একজনের জিম্মায় রাখা হয়। এর পরেও থেমে নেই প্রভাবশালী ওই মহলটির ষড়যন্ত্র। তারা আবারো ওই জমিতে রাতের আধারে স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টা করলে মাসুদ সিকদার দুইটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামি করা হয় এম এ মান্নান, জাফর রাড়ি, মিজান হাওলাদার, আছলাম খান, মনির জোমাদ্দারকে। এছাড়াও অজ্ঞাত পাঁচ-সাতজনকেও আসামি করা হয়। বর্তমানে আদালতের নির্দেশে ওই জমিতে সকল প্রকার নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। এতে এম এম মান্নানের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে মাসুদ সিকদারকে হয়রানির জন্য তাঁকেসহ ২৬ জনের নামে মামলা দায়ের করেন।
মাসুদ সিকদার অভিযোগ করেন, বিবাদীরা জাল জালিয়াতির মাধ্যমে কাগজপত্র তৈরি করে মালিকানা দাবি করছেন। এ ঘটনায় নলছিটি ভূমি অফিসের কানুনগো জাহাঙ্গীর হোসেন তাদের সহযোগিতা করেন। প্রকৃত জমির মালিক আমি। আমার জমিতে জোর করে বিবাদীরা স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টা করে যাচ্ছে। আমি এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসকের কাছে সুবিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মো. মিজান হাওলাদার বলেন, জমিটি আমি কিনেছি। বর্তমানে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় স্থাপনা নির্মাণের কাজ করা হচ্ছে না।
নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, বিরোধীয় জমিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এছাড়াও কয়েকটি মামলা আছে। আমরা উভয় পক্ষতে আদালতের নির্দেশ মেনে চলার জন্য বলেছি। কেউ নির্দেশ অমান্য করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জনতার কণ্ঠ 24 সংবাদ

ঝালকাঠিতে শতাধিক মানুষকে ঈদ উপহার দিলো স্বপ্ন পূরণ সমিতি

স্টাফ রিপোর্টার : ঝালকাঠিতে শতাধিক মানুষকে ঈদ উপহার দিয়েছে স্বপ্ন পূরণ সমিতি। সোমবার বিকেলে শহরের …