Latest News
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১৫ই বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Home / জাতীয় / মতানৈক্যসহ ঐক্য গড়তে ব্যর্থ হলে কুফরির সমুদ্রে তলিয়ে যাবে দেশ : নেছারাবাদী হুজুর

মতানৈক্যসহ ঐক্য গড়তে ব্যর্থ হলে কুফরির সমুদ্রে তলিয়ে যাবে দেশ : নেছারাবাদী হুজুর

স্টাফ রিপোর্টার :
হযরত কায়েদ ছাহেব হুজুর (রহ.) এর একমাত্র ছাহেবজাদা, গদ্দিনশীন পীর, আমীরুল মুছলিহীন হযরত মাওলানা মুহম্মদ খলীলুর রহমান নেছারাবাদী বলেছেন ‘মতানৈক্যসহ ঐক্য গড়তে ব্যর্থ হলে কুফরির সমুদ্রে তলিয়ে যাবে দেশ’। শনিবার বাদ ফজর ঝালকাঠি নেছারাবাদের দুই দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী বার্ষিক ঈছালে ছওয়াব ওয়াজ মাহফিলের আখেরী মুনাজাতের আগে সমাপনী ভাষণে তিনি এই সতর্কবাণী উচ্চারণ করেন।
নেছারাবাদী হুজুর বলেন, ‘দেশে আলেম-ওলামার অভাব নেই; আছে অসংখ্য মসজিদ-মাদরাসা, খানকা-দরবার। রয়েছে প্রত্যেক পীর-শায়েখের লক্ষ-লক্ষ অনুসারী। এতদসত্ত্বেও কুফরির সমুদ্র মাঝে জেগে ওঠা তৌহীদের এই দ্বীপ এখন ইসলাম ও মুসলিম-বিদ্বেষী নানান ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের শিকার। জায়নবাদী ষড়যন্ত্র, অখণ্ড ভারতীয় চক্রান্ত, মিশনারী লোলুপতা ও এনজিও কেন্দ্রিক নারী ব্যবসাসহ ইহুদী খ্রিস্টান পরিচালিত আহ্লে কুরআন, হিযবুত তাওহীদ ইত্যাদি ইসলামী নামধারী অসংখ্য বাতিল সংগঠনের অপতৎপরতা নাস্তিক্যবাদিতার দ্বারা পরিব্যাপ্ত হয়ে ১৮ কোটি মানুষকে এখন জিম্মি করে ফেলেছে। ফলে ঈমান আকীদা নস্যাতসহ ভূখÐ হারানোর দ্বারপ্রান্তে এখন দেশের ৯৫শতাংশ ধর্মপ্রাণ মানুষ।’
আমিরুল মুছলিহীন বলেন, ‘একজন মুজাদ্দেদের কাজ হলো সম্ভাব্য সমস্যার সমাধান পূর্বক নিজের যুগকে অতিক্রম করে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য দ্বীনের হেফাযত ও হেমায়েত করা। মুসলমানদের জন্য কী বিপর্যয় অপেক্ষা করছে এবং এর থেকে কিভাবে মুক্তি পাওয়া সম্ভব সে ব্যাপারে মুজাদ্দেদে মিল্লাত হযরত কায়েদ ছাহেব হুজুর (রহ.) বহু পূর্বেই আমাদের সতর্ক ও পথনির্দেশনা দিয়েছেন। কিন্তু মরহুম মাওলানা মুহিউদ্দীন খান (রহ.)-এর ভাষায় ‘কায়েদ‬ ছাহেব হুজুর (রহ.) গভীর দিব্যদৃষ্টিসম্পন্ন আল্লাহর ওলী ছিলেন। তাই তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, বাংলা‬েশের আলেম সমাজ ও দ্বীনদ‬ার মুসলমান‬ের জন্য কী ধরনের বিপর্যয় অপেক্ষা করছে। এ জন্যই তিনি ‘ইত্তেহা‬ মায়াল ইখতেলাফ’ (মতানৈক্যসহ ঐক্য) এর ডাক দি‬য়েছিলেন। দুঃখের বিষয় হল, তাঁর ডাকে কেউ কেউ তো ভ্র ক্ষেপই করেননি; আর যারাও বা সাড়া দিয়েছিলেন তারা মাত্র মুরব্বির সম্মান দে‬খিয়ে মৌখিকভাবে একাত্মতা ঘোষণা করলেও মূলতঃ তাঁর যে আকুতি ছিল সেটাকে কার্যকরভাবে গ্রহণ করার মত অন্তরের প্রশস্ততা তাদের ছিল না। তিনি যে মূল্যবান দর্শন রেখে গেলেন তা নিয়ে আলেম সমাজের এতটুকু মাথাব্যথাও দেখছি না। আমাদের অনুভূতিহীনতার এই যে রোগ, এটাই আমাদেরকে অতিদ্রুত ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছে।’ সুতরাং এই বিশাল জনসমুদ্র থেকে আমরা আবারো ঘোষণা করছি নেছারাবাদ কারো পক্ষ কিংবা প্রতিপক্ষ নয় বরং ওলামায়ে কেরাম, পীর মাশায়েখÑযারাই দ্বীনের জন্য মেহনত করছেন তাদের প্রত্যেকের খাদেম। মুছলিহীন এই খাদেম হিসেবেই প্রত্যেকের কাজের স্বীকৃতি, সম্মান ও মুল্যায়ন করেই একটি সম্মিলিত বেগবানধারা সৃষ্টি করতে চায়। সামগ্রিক ঐক্য কিংবা সামগ্রিক বিচ্ছিন্নতা কখনোই সুফল বয়ে আনবে না, পীর মাশায়েখ, ওলামায়ে কেরাম এই ধ্রুবসত্য বুঝতে এবং মতানৈক্যসহ ঐক্য গড়তে ব্যথ হলে কুফরির সমুদ্রেই তলিয়ে যাবে দেশ, পার পাবেন না কেউই।’
মুনাজাতের পূর্ব-মুহূর্তে বাংলাদেশ হিযবুল্লাহ জমিয়াতুল মুছলিহীনের পক্ষ থেকে দেশ, জাতি ও উম্মাহর কল্যাণার্থে ৭ দফা প্রস্তাব পেশ করা হলে উপস্থিত জনতার স্বতস্ফূর্ত সমর্থন ও তকবির ধনির মধ্য দিয়ে সমর্থিত হওয়ায় তা এখন জাতীয় দাবি ও কর্তব্য হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে। এসব প্রস্তাব গৃহীত হবার পর হযরত নেছারাবাদী হুজুর সকলকে মুবারকবাদ জ্ঞাপন করে আখেরী মুনাজাত পরিচালনা করেন।

জনতার কণ্ঠ 24 সংবাদ

ঝালকাঠিতে শতাধিক মানুষকে ঈদ উপহার দিলো স্বপ্ন পূরণ সমিতি

স্টাফ রিপোর্টার : ঝালকাঠিতে শতাধিক মানুষকে ঈদ উপহার দিয়েছে স্বপ্ন পূরণ সমিতি। সোমবার বিকেলে শহরের …