স্টাফ রিপোর্টার :
আজ ৮ ডিসেম্বর ঝালকাঠি প্রেস ক্লাবে সন্ত্রাসী হামলার ১৬ তম বার্ষিকী। ২০০৩ সালের এ দিনে তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের নেতাকর্মীরা প্রেস ক্লাবে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও সাংবাদিকদের মারধর করে। জেলার চারটি প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকরা দিনটি ‘ধিক্কার দিবস’ হিসেবে পালন করে। এ উপলক্ষে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। রবিবার সকাল ১১টায় প্রেস ক্লাবে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রেস ক্লাবের সভাপতি কাজী খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন সাবেক সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা চিত্তরঞ্চন দত্ত ও মু. আব্দুর রশীদ, সহসভাপতি শ্যামল সরকার ও আক্কাস সিকদার, সাধারণ সম্পাদক মানিক রায়, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হেমায়েত উদ্দিন হিমু, সহসাধারণ সম্পাদক কে এম সবুজ, সদস্য রতন আচার্য্য, অলোক সাহা ও শফিউল ইসলাম সৈকত।
প্রসঙ্গত তৎকালীন ক্ষমতাসীন চারদলীয় জোট সরকারের আইন প্রতিমন্ত্রী ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমরের ঘনিষ্ঠজনের বিরুদ্ধে বরিশালের একটি পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হওয়ায় তার ক্যাডাররা সাংবাদিক মো. হুমায়ূন কবিরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে ২০০৩ সালের এ দিনে (৮ ডিসেম্বর) ঝালকাঠির সাংবাদিকরা মৌনমিছিল ও জেলা প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি পেশের কর্মসূচি নিলে জেলা বিএনপির একটি গ্রুপ পুলিশের উপস্থিতিতে ঝালকাঠি প্রেস ক্লাব এবং বরিশালের সাংবাদিকদের বহনকারী একটি মাইক্রোবাসে হামলা চালায় ও ভাংচুর করে। এ সময় ঝালকাঠি ও বরিশালের ৭ জন সাংবাদিক আহত হন। ওই গ্রুপটি পরে ঝালকাঠি থেকে প্রকাশিত দৈনিক শতকণ্ঠ কার্যালয় এবং কয়েকজন সাংবাদিকের বাসা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও হামলা চালায়। তারা রাস্তায় রাস্তায় চেকপোস্ট বসায় এবং প্রকাশ্যে অস্ত্র হাতে সাংবাদিকদের খুঁজতে থাকে। শহরে মাইকিং করে কয়েকজন সাংবাদিককে অবাঞ্চিতও ঘোষণা করা হয়। পরে তারা ১০ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও মিছিলে হামলা করার মিথ্যা অভিযোগ এনে থানায় উল্টো মামলা দায়ের করে। বিএনপি ক্যাডারদের পাশাপাশি পুলিশও সাংবাদিকদের গ্রেপ্তারে মাঠে নামে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সাংবাদিকরা শহর ছেড়ে ঢাকা চলে যেতে বাধ্য হন। দেশজুড়ে এ ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সংস্থা থেকে এ ঘটনায় নিন্দা আসতে থাকে। জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকাগুলোও এ নিয়ে সোচ্চার হয়। সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকরা হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন। অবশেষে টনক নড়ে সরকারের। স্বরাষ্ট্র ও তথ্য মন্ত্রণালয় বিষয়টি ফয়সালা করার উদ্যোগ নেয়। উপযুক্ত বিচারের আশ্বাসে সাংবাদিকরা ঝালকাঠিতে ফিরে আসলেও আজ পর্যন্ত হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। প্রেস ক্লাবে হামলার ঘটনায় সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়। আসামী পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলাটির বিচার কার্যক্রম হাইকোর্টর নির্দেশে স্থগিত রয়েছে।
জনতার কণ্ঠ 24 সংবাদ
ইয়াবা গিলে ফেলেও রক্ষা পেলো না মাদক কারবারি
স্টাফ রিপোর্টার : ঝালকাঠিতে যৌথবাহিনীর মাদক বিরোধী অভিযানের বিষয় টের পেয়ে তুহিন হাওলাদার (৩৮) নামে …