Latest News
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১৫ই বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Home / আন্তর্জাতিক / ঢাকাস্থ পাকিস্তান হাইকমিশনে কাশ্মীর ‘ইউম-ই-ইসতেহসাল’ পালন

ঢাকাস্থ পাকিস্তান হাইকমিশনে কাশ্মীর ‘ইউম-ই-ইসতেহসাল’ পালন

ডেস্ক রিপোর্ট:
ভারত কর্তৃক অবৈধভাবে দখলকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের (আইআইওজেকে) নিপীড়িত জনগণের সাথে একাত্মতা পোষণের পাশাপাশি প্রবীণ হুরিয়ত নেতা সৈয়দ আলী শাহ গিলানির অসাধারণ কর্মের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে “ইউম-ই-ইসতেহসাল” (শোষণ দিবস) পালনের উদ্দেশ্যে ঢাকাস্থ পাকিস্তান হাইকমিশন আজ এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে পাকিস্তানি সম্প্রদায়ের সদস্যবৃন্দ এবং স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি ড. আরিফ আলভি, প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ শেহবাজ শরীফ এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির বাণী পাঠ করা হয়।
তাদের বার্তায়, পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী ভারত কর্তৃক অবৈধভাবে দখলকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের (আইআইওজেকে) বিরুদ্ধে বেআইনি ব্যবস্থা ও দুষ্কর্মের জন্য ভারতকে জবাবদিহি করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান, সেই সাথে অধিকৃত কাশ্মীরি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের জন্য ন্যায্য সংগ্রামে পাকিস্তানের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন ।
প্রধানমন্ত্রী স্বীয় বার্তার পুনরাবৃত্তি করে বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার জনগণ শান্তি ও স্থিতিশীলতা কামনা করে এবং এটি কেবল ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে অর্থপূর্ণ এবং বস্তুনিষ্ঠ আলোচনার মাধ্যমেই সম্ভব হবে যার মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীর বিরোধ সহ সমস্ত অমীমাংসিত ইস্যুতে আলোচনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার বার্তায় আইআইওজেকে -এর জনগণের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন এবং কাশ্মীর সমস্যার প্রতি পাকিস্তানের অবিচল প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, পাকিস্তান ভারতসহ সব প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় এবং বিরোধ অস্বীকারের মাধ্যমে নয়, শুধুমাত্র বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে সুসম্পর্ক তৈরি হয় বলে গুরুত্বারোপ করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে, কাশ্মীরের স্বাধীনতা আন্দোলনে প্রবীণ হুররিয়াত নেতা (প্রয়াত) সৈয়দ আলী গিলানির জীবন, সংগ্রাম এবং দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়।
সর্বদলীয় হুরিয়াত কনফারেন্সের আহ্বায়ক সৈয়দ ফয়েজ নকশবন্দি, কাশ্মীরিদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দখলদার বাহিনীর কর্তৃক সংঘটিত গুরুতর এবং নিয়মতান্ত্রিক মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে ভিডিও বার্তায় তার মতামত প্রদান করেন। এক মিলিয়নেরও বেশি ভারতীয় বাহিনীর উপস্থিতি জম্মু ও কাশ্মীরকে একটি ভার্চুয়াল কারাগারে রূপান্তর করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন । সহিংস নিপীড়ন সত্ত্বেও, আইআইওজেকে – এর জনগণ তাদের সংগ্রামে অবিচল থেকেছে এবং বর্বর ভারতীয় নিপীড়নের বিরুদ্ধে তাদের অটল প্রতিরোধ অব্যাহত রেখেছে বলে মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তান হাইকমিশনার জনাব ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী তার সমাপনী বক্তব্যে পাকিস্তানের নেতৃবৃন্দের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন এবং ভারত ৫ আগস্ট ২০১৯ থেকে নেওয়া সমস্ত একতরফা এবং অবৈধ পদক্ষেপ প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশন অনুযায়ী কাশ্মীরি জনগণকে তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অবিচ্ছেদ্য অধিকার প্রদান না করা পর্যন্ত সমস্ত প্রাসঙ্গিক ফোরামে জম্মু ও কাশ্মীর বিরোধ উত্থাপন চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে পাকিস্তানের দৃঢ় সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করেন।

জনতার কণ্ঠ 24 সংবাদ

পাকিস্তান হাইকমিশন স্যার সৈয়দ কর্নার উদ্বোধন

ডেস্ক রিপোর্ট : ঢাকাস্থ পাকিস্তান হাইকমিশন আজ চ্যান্সারিতে সৈয়দ কর্নারের উদ্বোধন করেছে, যেটি স্যার সৈয়দ …